সুশীল গাঁথি শেখ বাড়ি নিবাসী মরহুম আলহাজ্ব শেখ গোলাম রব্বানীর কন্যা আমেরিকান প্রবাসী আলহাজ্ব ডা. খুরশিদা খন্দকার গত ১২ ই (নভেম্বর) রাত ৯ টার সময় আমেরিকাতে ইন্তেকাল করিয়াছেন, ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্নালিল্লাহি রাজিউন। তিনি জন্মগ্রহণ করেন ২৮/৩ /১৯৪৫ ইং সালে, মৃতবরণ করেন ১২/ ১১/২০২৪ইং তার মৃত্যুর সময় বয়স হয়েছিল ৭৯ বছর। তিনি সামী আলহাজ্ব ডা. আবু লাইছ খন্দকার ও দুই কন্যা ১) বড় কন্যা আলহাজ্ব ডাক্তার মুসলিমা জেসমিন খন্দকার ২) ছোট কন্যা মুসলিমা নাজনীন খন্দকার পাঁচজন নাতি সহ আত্মীয়-স্বজন রেখে না ফেরার দেশে চলে গেছেন। দেবহাটা উপজেলা সুশীল গাতী শেখ বাড়ির বংশের সন্তান হওয়ায় পিত্র এলাকার উপকারের জন্য সার্বক্ষণ তার সাধ্য মতন চেষ্টা করে গেছেন। সরকারি চাকরি জীবনে ধান গবেষণা ডাইরেক্টর ছিলেন, অবসরে যেয়ে কেয়ার কোম্পানিতে চাকরি নেন, তার চাকরি জীবনে দেবহাটা উপজেলার হাদিপুর পানির কল হইতে নাংলা বাজার পর্যন্ত কিয়ার রাস্তাটি তিনি তার যোগাযোগের মাধ্যমে করে দেন, নিজেই ওই রাস্তাটি দেখাশোনা করেছেন। তার চাকরি জীবনে দেবহাটা উপজেলাতে অনেক কেয়ার কার্ফিটিং রাস্তার অবদান রেখেছেন। তিনি ১৯৯৭ সালে পিতা মাতা ভাই সহ আত্মীয়-স্বজনের রুহের কল্যাণের জন্য সুশীল গাতী শেখ বাড়ি বাইতুল আমান জামে মসজিদ প্রতিষ্ঠা করে গেছেন। ২০০৪ সালে মায়ের নামে হাজী জোবেদা জনকল্যাণ নিশান প্রতিষ্ঠান করে গেছেন। জীবদ্দশায় বিভিন্নভাবে মানুষের পাশে থেকে এলাকা সহ ও অন্যান্য এলাকায় এতিম, অসহায়, দুস্থ, গরিবদের লেখাপড়ার খরচ, বই করায় করে দিয়েছেন। ধর্মীয় শিক্ষার জন্য নারীদের কোরআন শিক্ষার ব্যবস্থা করা অশিক্ষিত নারীদের শিক্ষার ব্যবস্থা করেছিলেন। বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান মাদ্রাসা, মসজিদে, কোরআন শরীফের তাফসীর সহ কোরআন শরীফ দান করে গেছেন। অসহায় গরিবদের অন্ধত্ব থেকে আলো দেখার জন্য ফ্রি চক্ষু শিবির ক্যাম্প করে খুলনা শিরোমনি চক্ষু হাসপাতাল থেকে অপারেশন করে দিনের আলো দেখার জন্য বহু মানুষের উপকার করে গেছেন। উপবৃত্তি, চিকিৎসা সেবা, টিউবওয়েল, ঘর তৈরি করে দেওয়া, বন্যার্ত মানুষদের সাহায্য করা, বিভিন্ন জায়গায় কুরবানীর সময় কুরবানীর গরু দেওয়া, রোজাদারদের এক মাসের ইফতারি দেওয়া, বিভিন্ন এলাকায় বস্ত্র দান করা, এতিমখানা তে সাহায্য করা, ঈদের সময় সেমাই চিনি দেওয়া, বিভিন্ন স্থানে মসজিদ তৈরির সাহায্য করা সহ অগণিত প্রতিষ্ঠান ও মানুষের উপকারের জন্য দাতা হিসেবে সাহায্য করে গেছেন। বিভিন্ন সূত্রে জানা যায় মরহুম আলহাজ্ব ডা. খুরশিদা খন্দকার আমেরিকাতে ইংলিশে পবিত্র আল কোরআন গবেষণা করেছেন এবং তিনি ৩০ পারা আল-কুরআনের সুরা গুলি ইংলিশে অনুবাদও করেছেন। অবলা নারীদের ধর্মীয় শিক্ষার জন্য উদ্বুদ্ধকরণ চেষ্টায় ব্যস্ত থাকতেন। মৃত্যুর আগ পর্যন্ত ধর্মীয় অনুভূতিতে জীবন যাপন করেছেন। মরহুম ডা. খুরশিদা খন্দকার একজন দানবীর, সমাজসেবক, হিসাবে ছিলেন বলে এলাকাবাসী বলেছেন। তার দুই কন্যা মেয়ে জামাই সহ সকলেই আমেরিকান প্রবাসী, দ্বীনদার পরহেজগার দিন যাপন করছেন বলে জানা গেছে। তারাও সমাজসেবক, দাতা ও বিনয়ি। মরহুমার স্বামী আলহাজ্ব ডা. আবুল লাইছ খন্দকার বার্ধক্য জীবনে আছে।তার দুই কন্যা পিতার জন্য এবং মরহুমা আম্মার জন্য সকলের কাছে দোয়া চেয়েছেন তার পিতাকে যেন আল্লাহ সুস্থতা রাখেন এবং তার আম্মাকে আল্লাহ পাক জান্নাতুল ফেরদৌস নসিব দান করে।