ডেক্স নিউজ।
শ্যামনগর আবাদ চন্ডিপুর গ্রামের বাসিন্দার দরিদ্র পরিবারের ছেলে মোঃ ইয়াসিন আলী সরদার,পিতাঃ মোঃ শহীদ সরদার।দীর্ঘদিন যাবত ইটভাটায় কাজ করা দিনমজুর। তারই পরিচিত একজন ইটভাটার সরদার রাশেদুল ইসলাম। পিতা অজ্ঞাত কথা মোতাবে ভাটায় কাজে যায় বেশ কিছুদিন কাজ করার পর। ব্যক্তিগত কারনে ও বাড়ির সমস্যা এবং নিজের শরীর অসুস্থর কারণে চুক্তি মোতাবেক কাজ করতে না পারায় ।বাড়িতে চলে আসে এদিকে রাশেদুল কাজের অগ্রিম দেওয়া ১৫ হাজার টাকা নানাভাবে দাবি ও চাপ সৃষ্টি করে ইয়াসিন এর উপরে। ইয়াসিন নিরুপায় হয়ে গ্রামের মান্যগণ্য ব্যক্তিদের নিকট বিষয়টা বলে। গ্রাম পর্যায়ে সিদ্ধান্ত নিয়ে দুই কিস্তিতে ১৫ হাজার টাকা দেওয়ার কথা বলে দেয়। ইয়াসিনকে। সেই মোতাবেক রাশেদুল কে দই কিস্তি টাকা দিতে রাজি হয় ইয়াসিন অনেক কষ্টসাধ্য করে প্রথম কিস্তি ৯ হাজার টাকা পরিশোধ করে।পরবর্তীতে ধার দেনা করে হাঁস মুরগি ও ছাগল বিক্রয় করে ৬ হাজার পরিষদ করে মোট ২ কিস্তিতে ১৫ হাজার টাকা পরিশোধ করা হয়। সেই সময় ইয়াসিন রাশেদুল এর সঙ্গে ইটভাটায় কাজে যাওয়ার আগে নিজ বাড়িতে বসে চুক্তিনামা করা হয় সরকারি স্ট্যাম্পের কাগজ পরবর্তীতে ইয়াসিন টাকা দেওয়ার পর রাশেদুল এর কাছে চুক্তিনামা কাগজ দাবী করে।রাশিদুল বলে কোন সমস্যা নেই চুক্তিনামা নামার কাগজ লাগবে না। আর আমি যখন টাকা পরিশোধ পেয়েছি। তখন আর সমস্যা কি এর পরেও ইয়াসিন সমস্যা হতে পারে জেনে চুক্তিনামা বারবার রাশিদুলের কাছে চাইতে থাকে একপর্যায়ে রাশেদুল জানায় যে চুক্তিনামার কাগজ কোথায় রেখেছি পাচ্ছি না। পরবর্তী পাওয়া গেলে দিয়ে দেবো। বেশ কিছুদিন যাওয়ার পর সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দেশ ত্যাগ করার পরেই সুযোগ বুঝে হঠাৎ কিছু লোকজন নিয়ে ইয়াসিনের সঙ্গে দেখা করে রাশেদুল আরো ১০ হাজার টাকা দাবি করে এক পর্যায়ে ইয়াসিন বলে যে আমি তো টাকা ইতিপূর্বে পরিশোধ করেছি তারপরও কিসের টাকা।এক পর্যায়ে তর্ক বিতর্ক করতে থাকে শেষ বেষ সমিতির থেকে সামান্য কিছু টাকা লোন নিয়ে ও একটা গরুর বাছুর বিক্রয় করে। চার্জার ভ্যান চালিয়ে কোনরকম দিনমজুর করে চলছিল রাশিদুল ও তার লোকজন সেই ভ্যানটা ছিনিয়ে নিয়েছে বর্তমান ইয়াসিন নিরুপায় হয়ে কান্নাকাটি করছে এর বিচার কোথায় গেলে পাবে। সে এখনো বুঝতে পারছে না। আদৌ তার ভ্যানটা ফিরে পাবে কিনা। সেই নিয়ে মহা চিন্তায়।