পটুয়াখালীতে বিথী এন্ড গ্রীন সিকিউরিটি সার্ভিস ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক কুদ্দুসুর রহমানের বিরুদ্ধে কোটে মামলা দায়ের করেন প্রতিষ্ঠানের একাধিক কর্মচারী,পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ স্বাস্থ্যসেবা খাতের আউটসোর্সিং কর্মচারী নিয়োগ প্রক্রিয়া সিন্ডিকেট। একই ঠিকাদার ঘুষ দিয়ে কর্মকর্তাদের ম্যানেজ করে বছরের পর বছর ধরে আউটসোর্সিং কাজ চালান। কোনো ধরনের মনিটরিং না থাকায় কর্মচারী নিয়োগে অনৈতিক অর্থ আদায়, খেয়াল-খুশিমতো চাকরিচ্যুত ও বেতন না দেওয়ার অভিযোগ নিয়ে,পটুয়াখালী কোটে একটি রিড দায়ের করেন। পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজের কর্মচারী আব্দুর রহমান,লোকমান মৃধা,মিলন গাজী, খাদিজা আক্তার, হাসেম হাওলাদার, তানজিলা আক্তার, আরিফুর রহমান, জাফর খান সালেহ,মাহমুদা,কাওসার আলী,নাঈম সরদার, আমেনা বেগম সহ একাধিক কর্মীচারী বৃহস্পতিবার পটুয়াখালী সিনিয়র সহকারী জজ আদালতে হাজির হয়ে। বিথী এন্ড সিকিউরিটি সার্ভিস ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে এ রিট দায়ের করেন। যার নাম্বার ১৬ /২০২৫ এদিকে আরেক ভুক্তভোগী নারী পটুয়াখালী আদালতে মামলা দায়ের করেন যার মামলা নং সি আর ২৯/২০২৫ মামলা সূত্রে জানা যায়।পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজে আউটসোর্সিং নিয়োগে লাখ লাখ টাকা ঘুষ বাণিজ্যে পটুয়াখালী , সরকারি স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠানগুলোতে চরম জনবলসংকটের কারণে স্বাস্থ্যসেবা ব্যাহত হওয়ায় ঠিকাদারের মাধ্যমে সরকার অস্থায়ী ভিত্তিতে ওয়ার্ডবয়,লাইব্রেরীয়ান,ল্যাবএ্যাটেনন্ডেন্ট,
ইলেকট্রিশিয়ান,বাবুর্চি,আয়া,পরিচ্ছন্নতাকর্মী, নিরাপত্তা প্রহরী ও মালি পদে কর্মচারী নিয়োগ দিয়ে থাকে।অভিযোগ রয়েছে, প্রতিবছর দরপত্রের মাধ্যমে ঠিকাদার নিয়োগের কথা থাকলে দীর্ঘদিন ধরে পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে আউটসোর্সিং কর্মচারী দিয়ে যাচ্ছে এই ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান বীথি এন্ড গ্রিন সিকিউরিটি সার্ভিসেস লিমিটেড।খোঁজ নিয়ে জানা যায়, এই ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক কুদ্দুসুর রহমান, ২০২১/২২ অর্থবছরে বরগুনা জেলাধীন আমতলী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স উহার আওতাধীন সকল স্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠানের দরপত্র মূল্যায়ন টিইসি কমিটি সভায় মেসার্স গ্রীন ট্রেডার্স ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানকে তিন বছরের জন্য কাল তালিকাভুক্ত করেন যার স্মারক নংUCH/AM/MSR/tender 2021/22-732,-30/8/2021 এরআগে পটুয়াখালী জেলাতে ২০১৬ সালে মেসার্স গ্রীন ট্রেডার্স লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোঃ কুদ্দুছুর রহমানের বিরুদ্ধে জাল জ্বালিয়েতি দুর্নীতি-অনিয়মের বিষয়ে তার লাইসেন্স কালো তালিকাভুক্ত হয়।