মোঃ জিয়াউর রহমান জুয়েল মৃধা, বিভাগীয় প্রধান বরিশাল।
পটুয়াখালী সদর উপজেলার কালিকাপুর ইউনিয়নের বল্লবপুরে গ্রামে একই বংশের দুই পক্ষের মধ্যে জমি জমার বিরোধে মারামারির ঘটনায় উভয় পক্ষে আহত হওয়ার সংবাদ পাওয়া গেছে। এরই জের ধরে ঘটনার দিন ১৪'ই- ফেব্রুয়ারী পবিত্র শবেবরাত এর রাতে ওয়ার্ড বিএনপির সাবেক সভাপতি ও বর্তমান ইউনিয়ন বিএনপির সদস্য আব্দুর রব মাতবরের বসত ঘরে আগুন দেয়ার অভিযোগ উঠেছে প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে।
গত শুক্রবার (১৪'ই- ফেব্রুয়ারী-২৫ ইং) তারিখ জুম্মার নামাজের পরে আনুমানিক দুপুর সোয়া দুইটার সময় ঘটনাস্থল বাড়ির মসজিদের মধ্যে ডুকে হামলা এবং রাত আনুমানিক ২ টার সময় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।
হামলার ঘটনায়, (১).জব্বার মাতবর (৫০), পিতাঃ আব্দুর রব বিএনপির সুচনা লগ্ন থেকে ওয়ার্ড বিএনপি'র সভাপতি, (২).মোঃ ফজলে রাব্বি (২৪), ইসহাক মডেল কলেজের শিক্ষার্থী ও জেলা ছাত্রদলের সদস্য, (৩). রাতুল হোসেন (১৮) সরকারি কলেজের প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী, উভয়ের পিতাঃ মোঃ কবির মাতবর,(৪), কবির মাতবর ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি , (৫). হেলাল মাতবর (৩৫), (৬). উভয় পিতাঃ আব্দুর রব মাতবর আহত হয়েছে। এছাড়াও জাকারিয়া মাতবর ইউনিয়ন যুবদলের যুগ্ম-আহ্বায়ক।
অভিযোগ সুত্রে, ওয়ার্ড বিএনপির সাবেক সভাপতি আব্দুর রব তার স্ত্রী সূর্যবানু এবং লাইজু বেগম ও সাথী বেগম বলেন, পুর্বে প্রতিপক্ষের সাথে জমি জমার বিরোধে মামলা চলমান রয়েছে। এবিষয়ে সদর থানায় অভিযোগ হলে প্রতিপক্ষ অভিযোগ করে মিমাংসার তারিখে উপস্থিত হয়নি এবং বিএনপি নেতা বাবু আকন মিমাংসার জন্য উভয়ের মধ্যে চেষ্টা করেও ব্যার্থ হয়েছেন। ঘটনার দিন ১৪'ফেব্রুয়ারি জুমার নামাজের পরে হঠাৎ করে মসজিদের মধ্যে ডুকে জব্বার মাতবরের উপর অতর্কিত হামলা চালায়। ডাকচিৎকার শুনে রাতুল, রাকিব, কবির মাতবর ও হেলাল মাতবর ছুটে গেলে তাদের উপরেও হমালা চালানো হয়।
অভিযোগ সুত্রে, হাসিব মাতবর এর নেতৃত্বে দেশীয় অস্ত্র চল, রামদা, দাও, লাঠি ও চাইনিজ কুড়াল নিয়ে হমালা চালনো হয়। হামলাকারীরা হলেন, (১). হাসিব মাতবর (১৯), (২).সজিব মাতবর (৩০), পিতাঃ কাসেম মাতবর, (৩).আবু সায়েদ (৩৭), পিতাঃ ইউসুফ মাতবর, (৪). কামাল (৪২), পিতাঃ মৃত সেকেন্দার, (৫). নাইমুল (২৩),পিতাঃ কামাল মাতবর, (৬).হাকিম মাতবর (৫০),পিতাঃ মৃত সোবহান মাতবর, (৭).শহিদ মাতবর (৩৫), পিতাঃ দলু মাতবর,(৮) রাজ্জাক মাতবর (৫০) সহ আর ১০/১২ জন মিলে হামলা চালায়। হামলার সময় হাসিব চল মেরে জব্বার মাতবরকে আহত করলে মাটিতে লুটিয়ে পরে এসময় সজিব এলোপাতাড়ি ভাবে পিটিয়ে হাত ভেঙে দেয় এবং কামাল মাতবর জব্বার মাতবর এর মাথায় কোপ দিয়ে গুরুত্বর আহত করে। এঘটনায় বাকিরাও আহত হলে স্থানীয়রা উদ্ধার করে পটুয়াখালী ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট সদর হাসপাতালে নিয়ে আাসেন। এদিকে রাজ্জাক মাতবর এর মিথ্যা মৃত্যুর সংবাদ ছড়িয়ে দিলে এলাকায় আতংকের সৃষ্টি হয়। পুরুষ শুন্য থাকা অবস্থায় বসত ঘরে আগুন দেয়ার অভিযোগ জানান অভিযোগকারীরা।
এ বিষয়ে সূ্র্য় বানু বলেন, গভীর রাতে আগুনে পুরিয়ে মারার জন্য পেট্রোল ঢেলে আগুন দেয়া হয়। লাইজু বেগম বলেন রাতে ঘরের আশেপাশে প্রতিপক্ষের লোকজন ঘোরাঘুরি করে আমাকে ভয়ভীতি দেখায় দরজা জানালা ঘরের বেড়া পিটিয়ে ফলজ গাছপালা নষ্ট করে। আব্দুর রব বলেন বিরোধী পক্ষ জমিজমার দলিল পুরিয়ে নষ্ট করা ও আমাদের সপরিবারে মেরে ফেলতে আগুন দিয়েছে পরে এলাকাবাসী ও ফায়ার সার্ভিস এসে আমাদের রক্ষা করে। এতে প্রায় লক্ষ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। আমরা নিরাপত্তাহীনতায় দিনকাটাচ্ছি আবারও হামলা হতে পারে এর সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে বিচার দাবি করেন তারা।
এবিষয়ে আত্মপক্ষের সুলতান ও কামাল বলেন, আমাদের মধ্যেও রাজ্জাক মাতবর গুরুত্বর এবং আরও কয়েকজন আহত হয়েছে। আমরা কোন সমজোতায় নয় ওদের সাথে বোজাপারা করবো তারপর যা হবার হবে বলেন তারা।
এ বিষয়ে সদর থানার অফিসার ইনচার্জ ইমতিয়াজ উদ্দিন বলেন, গতকাল একটা ঘটনা শুনেছি সেখানে নিহত আহত হওয়ার খবর পেয়েছি পরবর্তীতে নিহতের খবর সঠিক নয় জানাগেছে। এব্যাপারে উভয় পক্ষে আহত হয়েছে এখন পর্যন্ত কোন অভিযোগ হয়নি। তিনি আরও বলেন অভিযোগ হতে পারে, অভিযোগ হলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
সংবাদ প্রকাশের আগ পর্যন্ত ১৫'ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যায় থানায় কোন অভিযোগ হয়নি বলে জানান,অফিসার ইনচার্জ ইমতিয়াজ উদ্দিন।