প্রিয় সাংবাদিক ভাই ও বোনেরা, আস-আলামুআলাইকুম।
আমি মাহমুদা বেগম, স্বামী মোঃ আল আসাদ, হাসপাতাল রোড, পটুয়াখালী। ১৯৯৮ সালে ৯ই ফেব্রুয়ারী আমাদের বিবাহ হয়। আমার এক কন্যা ও এক পুত্র সন্তান আছে। কন্যা মেহেলী আফরোজ সুপ্তি ইংরেজিতে অনার্স পরীক্ষা শেষ করেছে এই বছর। পুত্র মোহাম্মদ ইয়াসির আল ফাইজান তৃতীয় শ্রেণির ছাত্র।
বিয়ের সময় আমার স্বামী শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরে উন্নয়ন খাতে অবৈতনিক কম্পিউটার অপারেটর কাম টাইপিস্ট পদে কর্মরত থাকায় সংসারের প্রয়োজনীয় খরচ চালানো তার পক্ষে সম্ভব ছিল না তদুপরি আমি আমার পিতা অত্মীয় স্বজনের কাছ থেকে ধার দেনা করে, খেয়ে না খেয়ে, অতি কষ্টে
সংসার যাপন করেছি।
পরবর্তীতে ২০১০-১১ সালে আমার স্বামী মোঃ আল আসাদ এর চাকুরী রাজস্ব খাতে অর্ন্তর্ভুক্ত হলে কষ্টের দিন শেষ হবে ভেবে স্বপ্ন দেখি। কিন্তু স্বপ্ন অল্প দিনের মধ্যেই দুঃস্বপ্নে পরিনত হতে থাকে রাজস্ব খাতে চাকুরী হওয়ার পর এককালীন যে বেতন পেয়েছিল তার সাথে আমার ব্যক্তগত প্রায় ১ ভরি স্বর্ণ-অলংকারের বিক্রির টাকা যোগ করে পরিবারের মাথা গোজার জন্য যৌথ ভাবে জমি কেনা কথা থাকলেও আমাকে বাদ দিয়ে শুধু মাত্র আমার স্বামীর নামে দলিল রেজিঃ করা হয়।
প্রিয় সংবাদিক বৃন্দ।
এখানেই শেষ নয়। আমানার চাকুরী স্থায়ী হবার পর থেকে দিন দিন সে পরিবার থেকে দূরে সা যেতে থাকে। অগ্নি থেকে বেতন ভাতা যা পায় পরিবারের কাজে ব্যয় না করে নানা অনৈতিক কা ব্যয় করে। ফলে দীর্ঘদিন যাবৎ সংসারে অচল অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে এবং তা প্রায় শেষ অবস্থা। ছে মেয়ের লেখা পড়ার খরচ দেয় না। বাসায় বাজার করে না। এক কথায় পরিবারে সদস্যদের নূন্য মৌলিক চাহিদা সে পূরন করে না। অথচ বাসায় প্রতিনিয়ত আমি এবং আমার সন্তানদের উপর ন ভাবে নির্যাতন নিপিরন অত্যাচার করে। তার অমানুষিক নির্যাতনে আমি বহুবার আহত, জখম রক্তাক্তা হয়েছি এর জন্য সে ঔষধের ও কোন ব্যবস্থা করে না। সীমাহীন নির্যাতন সইতে না পেরে আমি আইনের আশ্রায় নেওয়ার চেষ্টা করেছি। আদালতে মামলা দিয়েছি। কিন্তু আমার স্বামীর ভাড়াটে শুন্ডাদের ভয়, ভীতি, বাঁধা ও হুমকীতে কোটে মা ও মেয়ে উপস্থিত হতে পারি নাই। যার ফলে আইনী প্রতিকারের ন্যায় সঙ্গত অধিকার থেকে আমি বার বার বঞ্চিত হয়েছি। সরকারী চাকুরী করেন বিধায় সে শুধু বাসা ভাড়া দেয় লোক দেখানো, আর কিছুই করেনা। আমি এবং আমার সন্তানদের প্রতি তার কোন দায় দায়িত্ব নেই এটা সে বারবার জানিয়ে দেয় এবং বাসা থেকে বের করে দেয়।
প্রিয় সংবাদিক ভাই ও বোনেরা।
স্বামীর নির্যাতনে আমি ও আমার সন্তানদের কষ্টের কথা বলে শেষ করা যাবে না। সর্বশেষে জানাতে চাই আমার স্বামী কিছু দিনের মধ্যে অবসরে যাচ্ছে। বর্তমানে তার এলপিআর চলছে। আমি এবং আমার সন্তানরা যাতে পেনশন ভাতা থেকে বঞ্চিত হই তার জন্য সে চেষ্টা চালাচ্ছে। সে আমাকে তালাক দিয়েছে বলে প্রতি নিয়ত জানাচ্ছে। তার কার্যকলাপ দেখে ও লোক মুখে শুনতে পাচ্ছি পরকীয়ায় আসক্ত হয়ে অন্য নারীকে বিয়ে করেছে।
প্রিয় সংবাদিক ভাই ও বোনেরা।
আপনারা জাতির বিবেক ও দর্পন। আমি এক নির্যাতিত নারী। দুই সন্তান নিয়ে এমন কষ্ট করছি যে, এর কোন শেষ নেই। এতটি বছর সন্তানের মুখের দিকে চেয়ে নিজের সর্বোস্ব দিয়ে স্বামীর সুখের জন্য চেষ্টা করছি। অথচ সেই স্বামী আজ আমার ৫৩ বছর বয়সে আমাকে ছেড়ে অন্য নারী নিয়ে ঘর বাধার চেষ্টা করছে। আমার সন্তানদের সবকিছু থেকে বঞ্চিত করার ষরযন্ত্র করছে। আপনাদের লিখনির মাধ্যমে বিষয়টি নিজ নিজ গন মাধ্যমে প্রকাশ ও প্রচার করে এই অনৈতিক অত্যাচার ও কর্মকান্ডের প্রতিকারে সহয়তা করবেন। যাতে করে আমি ও আমার সন্তান প্রয়োজনীয় আইনী সহায়তা পাই এবং আমার সন্তান দুটি নিয়ে সুস্থ্য ও সামাজিক ভাবে বাস করতে পারি।
পরিশেষে আপনারা ধৈর্য্য সহকারে আমার লিখিত বক্তব্য শুনেছেন এজন্য আমি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।
নিবেদক মাহমুদা বেগম
২১/১০/২০
মাহমুদা বেগম
স্বামী: মোঃ আল আসাদ পুরাতন হাসপাতাল রোড, পটুয়াখালী। মোবাইল: ০১৩০৭৪৮৮৮৪৩।