সাতক্ষীরা শহরের রসুলপুর এলাকার বাসিন্দা মোটর শ্রমিক নেতা মজনু সরদার বাদী হয়ে সদর থানায় মামলাটি দায়ের করেন । এই গায়েবী মামলার আসামিরা হলেন, সাতক্ষীরা থেকে প্রকাশিত দৈনিক সাত নদী পত্রিকা সম্পাদক হাবিবুর রহমান, দৈনিক কালের চিত্র পত্রিকার সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা আবু আহমেদ ও সমাজের আলো পত্রিকার সম্পাদক ইয়ারব হোসেন। অন্তর্বর্তী সরকারের স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা প্রতিনিয়ত মিথ্যা মামলা থেকে বিরত থাকার আহ্বান ও প্রাথমিক তদন্ত ছাড়া মামলা গ্রহণ করার জন্য নির্দেশনা দিয়েছেন। তারপরও তিন সম্পাদকের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দায়ের হওয়ায় পেশাদার সাংবাদিকরা উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছে । অনেকেই প্রশ্ন তুলেছে, সম্পাদক ও সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দায়ের করে গণমাধ্যমের কন্ঠ রোধ করার অপচেষ্টা চালানো হচ্ছে মামলার বাদী সাতক্ষীরা শহরের রসুলপুর এলাকার বাসিন্দা মটর শ্রমিক নেতা মজনু সর্দার এজাহারে উল্লেখ করেছেন, গত৭ মার্চ রাত ৯ টার দিকে সাতক্ষীরার তিন পত্রিকার সম্পাদক হাবিবুর রহমান ,ইয়ার হোসেন ,আবু আহমেদ ও ঢাকা শহরের লালমাটিয়া এলাকার বাসিন্দা খোরশেদ আলমসহ অজ্ঞাত কয়েকজন আসামী একটি মাইক্রোবাস যোগে তার বাড়ির সামনে পৌঁছায়। এ সময় তারা বাদীর বাড়িতে ঢুকে ৫ লাখ টাকা চাঁদার দাবিতে ৬০ হাজার টাকা লুট করে । বাকি ৪ লক্ষ ৪০ হাজার টাকা চাঁদার দাবিতে বাদী মজনু সদ্দার কে মাইক্রোবাসে তুলে অপহরণ করে নিয়ে যায় । এরপর শহরের বাইপাস রোডে তাকে ফেলে রেখে আসামিরা পালিয়ে যায় ।এদিকে মামলার প্রধান সাক্ষী শহরের পলাশপল মধু মোল্লা ডাঙ্গী এলাকার জিয়াউর রহমান মিশন ও মধ্য কাঠিয়ার আব্দুর রাজ্জাক জানান, এই চাঁদাবাজি মামলার ঘটনা সম্পর্কে তারা কিছুই জানেনা । কোন উদ্দেশ্যে তিন সম্পাদকের নামে এই গায়েবী মামলা দায়ের করা হলো তা এখনো ধোঁয়াশা রয়ে গেছে । তবে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, রসুলপুরের মটর শ্রমিক মজনু সর্দার সাতক্ষীরা জেলা যুবলীগের সাবেক সভাপতি আব্দুল মান্নানের একনিষ্ঠ কর্মী ছিলেন । রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের পর মজনু সর্দার বিএনপির সেন্টারে চলে গেছে । তাকে ব্যবহার করে এই গায়েবী মামলা দায়ের করা হয়েছে বলে কেউ কেউ মন্তব্য করেছে । সাতক্ষীরা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি তদন্ত) শফিকুর রহমান জানান, সঠিক তদন্তের মাধ্যমে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে ।