মো: জাকিরুল ইসলাম বাকি – কিশোরগঞ্জ জেলা
যুব অধিকার পরিষদ কিশোরগঞ্জ জেলা শাখার উদ্যোগে কিশোরগঞ্জ- ভৈরব মহাসড়কের সংস্কার ও কিশোরগঞ্জ – ঢাকা রুটে বাসের ভাড়া কমানোর দাবিতে কর্মসূচি পালিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার দুপুরে কিশোরগঞ্জ শহরের মেইন পয়েন্ট ইসলামিয়া সুপার মার্কেটের সামনে এই আয়োজন করে। যত দ্রুত সম্ভব সেগুলো সংস্কারের দাবি জানান।
মানববন্ধনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, গণ অধিকার পরিষদের উচ্চতর পরিষদের সদস্য ও গণমাধ্যম সমন্বয়ক আবু হানিফ তিনি বলেন, কিশোরগঞ্জ থেকে ভৈরব মহাসড়ক এবং কিশোরগঞ্জ- ঢাকা রুটের যাতায়াত অবস্থা খুবই নাজুক,সেখানে নেই কোন উন্নত মানের পরিবহন। সিটিং সার্ভিস বলে তারা লোকাল সার্ভিস এর মত সার্ভিস দিচ্ছে। রাস্তায় বিভিন্ন পয়েন্টে যাত্রী উঠানামা করায়,নেই কোন পরিবহনের ভালো সার্ভিস। এমন সার্ভিস দিয়ে পরিবহন মালিকেরা ন্যায্য ভাড়ার চেয়ে বেশি ভাড়া নিচ্ছে। প্রতিটা যাত্রীর কাছ থেকে ৭০ থেকে ১২০ টাকা করে বেশি নিয়ে আসছে। তিনি আরো বলেন, কিশোরগঞ্জ থেকে ঢাকার দূরত্ব ১২০ কিলোমিটার, সরকারি নিয়ম অনুযায়ী ভাড়া প্রদান করা হলে ১৬৫-১৭৫ টাকা হবে। কিন্তু সেখানে পতি যাত্রী থেকে ভাড়া নেওয়া হচ্ছে ৩৫০-৪০০ টাকা। এই সিন্ডিকেটের সাথে জড়িত রয়েছেন পরিবহন মালিক সমিতি। পূর্বে সেখান থেকে ভাগ নিতো আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা। আমরা শুনেছি এখান থেকে অন্য দলের নেতারা চাঁদা নিচ্ছে। যত দ্রুত সম্ভব ন্যায্য ভাড়া নেওয়ার জন্য দাবি জানাচ্ছি। কিশোরগঞ্জ ভৈরব মহাসড়কের রাস্তার সম্পর্কে তিনি আরো বলেন, এই রুটের অবস্থা খুবই ভয়াবহ, এক কথায় মরণফাঁদ। রাস্তার অবস্থা খারাপ থাকায় প্রতিনিয়তই দুর্ঘটনা ঘটছে যার ফলে মানুষ আহত এবং নিহত হচ্ছে। বিগত সরকারের আমলের যে বাজেট হতো তার ৭০% শতাংশই ঠিকাদার এবং আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা ভাগ বাটোয়ার করে নিয়ে যেতো। যার ফলে রাস্তা উন্নয়নমূলক কাজ করার জন্য বরাদ্দ হতো তার সিংহভাগেই লুটপাট হয়ে যেত।
তিনি আরো বলেন বাংলাদেশের রাজনীতিতে কিশোরগঞ্জে ইতিবাচক অবদান রয়েছে। আমরা দেশের পক্ষে এবং দেশের জনগণের কল্যাণে কাজ করছি। কিশোরগঞ্জ জেলা যুব অধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক হাসান আহমেদ রমজানের সঞ্চালনায় মানববন্ধনে আরও বক্তব্য রাখেন, যুব অধিকার পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক সুমন তালুকদার, জেলা যুব অধিকার পরিষদের সভাপতি সোহাগ মিয়া, জেলা গণঅধিকার পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক শফিকুল ইসলাম, অভি চৌধুরী, পাকুন্দিয়া উপজেলা আহ্বায়ক শহিদুল ইসলাম, ভৈরব উপজেলার সদস্য সচিব,ইমতিয়াজ হোসেন কাজল , বাজিতপুর উপজেলার আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট ফজল মোল্লা, সদর উপজেলার আহ্বায়ক মোমেনউদ্দীন জনি, ছাত্র নেতা ইমন খান, পায়েল চৌধুরী প্রমুখ।