প্রিন্ট এর তারিখঃ এপ্রিল ১৯, ২০২৫, ৪:৪৯ পি.এম || প্রকাশের তারিখঃ নভেম্বর ১৫, ২০২৪, ২:১০ পি.এম
আসিফ নজরুলকে হেনস্তা, চাকরি হারালেন কর্মকর্তা।
দৈনিক সাতক্ষীরা দিগন্ত ডেক্স
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক উপদেষ্টা অধ্যাপক আসিফ নজরুল সুইজারল্যান্ডের জেনেভা বিমানবন্দরের সামনে হেনস্তার দায়ে চাকরি হারিয়েছেন লেবার কাউন্সেলর মুহাম্মদ কামরুল ইসলাম।
এছাড়া, লোকাল স্টাফ বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সাবেক কর্মচারী মিজানের চাকরি বাতিলের সিদ্ধান্ত হয়েছে। জেনেভায় আসিফ নজরুলের সঙ্গে ঘটে যাওয়া ঘটনাকে সরকার উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে মনে করছে বলে জানিয়েছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
উপদেষ্টার সঙ্গে প্রটোকল থাকার পরও কেন এমন ঘটনা ঘটল এবং এর সঙ্গে কাদের যোগসাজশ রয়েছে তা জানতে চেয়ে সুইজারল্যান্ডের জেনেভার বাংলাদেশ দূতাবাস ও স্থায়ী মিশনের কূটনৈতিক পত্রের মাধ্যমে ব্যাখ্যা চেয়েছে মন্ত্রণালয়। সদর দফতরের কূটনৈতিক পত্র পাওয়ার স্বল্প সময়ের মধ্যে পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে তারা। জেনেভার বাংলাদেশ দূতাবাসের তথ্যমতে আওয়ামী লীগ আমলে জেনেভা মিশনে নিয়োগ পাওয়া একজন কর্মকর্তা এবং এক লোকাল স্টাফের যোগসূত্র থাকতে পারে বলে প্রতিবেদন পেয়েছে ঢাকা।
মন্ত্রণালয় ও কূটনৈতিক সূত্র গণমাধ্যমকে আরও জানিয়েছে, মিশনের প্রতিবেদনের আলোকে লেবার কাউন্সেলর (জেনেভাস্থ বাংলাদেশ দূতাবাস) মুহাম্মদ কামরুল ইসলামকে স্ট্যান্ড রিলিজ করা হয়েছে। দ্রুত সময়ের মধ্যে তাকে ঢাকায় ফিরতে বলা হয়েছে। আর আওয়ামী লীগের আমলে নিয়োগ পাওয়া লোকাল স্টাফ বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সাবেক কর্মচারী মিজানের চাকরি বাতিলের সিদ্ধান্ত হয়েছে।
[caption id="attachment_3498" align="alignleft" width="212"]
এইটা নিজস্ব বিজ্ঞাপন[/caption]
এছাড়া, হেনস্তার ঘটনার তিন হোতা সুইজারল্যান্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি নজরুল ইসলাম জমাদার, সাধারণ সম্পাদক শ্যামল খান এবং ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির সুইজারল্যান্ড শাখার আহ্বায়ক খলিলুর রহমানসহ প্রায় সবাইকে শনাক্ত করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের প্রক্রিয়া শুরু করা হয়েছে বলেও জানিয়েছে মন্ত্রণালয়।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, জেনেভায় আসিফ নজরুলকে হেনস্তার পর সম্প্রতি বিদেশে বাংলাদেশের সব মিশনে জরুরি পরিপত্র পাঠানো হয়েছে। সেই পরিপত্রে দুটি বিষয়টি সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। প্রথমত, সরকারের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিবর্গের বিদেশ সফরকালে যথাযথ প্রটোকল ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করা। দ্বিতীয়ত, যেকোনো অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি এড়াতে রাষ্ট্রদূতসহ মিশনের কর্মকর্তাদের সর্বোচ্চ চেষ্টা করতে
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
